Tourist Spot

হযরত শাহজাল (রঃ) মাজার শরীফ

সিলেটে হোটেল খান ভিউ থেকে সব চেয়ে কাছের জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্পট 

জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক পর্যটন স্পট হযরত শাহজাল (রঃ) মাজার শরীফ সিলেট
হোটেল খান ভিউ থেকে শাহজালাল
রঃ মাজারের দূরত্ব গুগল ম্যাপ এ
চিত্রায়িত
যরত শাহজাল (রঃ) মাজার শরীফ। আমাদের হোটেল থেকে মাত্র তিন মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।সাধারনত সিলেটে যে সব পর্যটকগন বেড়াতে আসেন তাদের মূল আর্কশন থাকে অসাধারণ এ ধর্মীয় ও আধ্যাত্নিক স্থাপনাটির প্রতি।হযরত শাহজালাল (রঃ) ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ। তার পুরো নাম শেখ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ (রঃ) । ৭০৩ হিজরী মোতাবেক ১৩০৩ খ্রিষ্টীয় সালে ৩২ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম প্রচারের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।সিলেটে তার মাধ্যমেই ইসলামের বহুল প্রচার ঘটে।সিলেট বিজয়ের পরে শাহ জালালের (রঃ) সঙ্গী-অনুসারীদের মধ্য হতে অনেক পীর-দরবেশ এবং তাদের পরে তাদের বংশধরগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন। শাহজালালের সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তার মৃত্যুর পর তাকে সিলেটেই কবর দেয়া হয়।খ্রিস্টিয় দশম শতকে শ্রীহট্টভূমি লাউড়, জয়ন্তীয়া ও গৌড় নামে তিনটি স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল। উক্ত রাজ্য গুলোর মধ্যে গৌড় অন্যতম রাজ্য হিসেবে বিবেচিত ছিল। এ রাজ্যে প্রাচীন সীমা রেখা বর্তমান মৌলভীবাজার জেলা সহ হবিগঞ্জ জেলার কিছু নিয়ে বিস্তার থাকায় গৌড় রাজ্যের দক্ষিণ সীমাভূমি নবীগঞ্জের দিনারপুর পরগণার পাশে রাজা গোবিন্দের চৌকি ছিল। হযরত শাহজালাল (রহ.) তার 
হযরত শাহজালাল রঃ এর
মাজার প্রাঙ্গন
সঙ্গীদের নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে প্রথমত সেখানে অবস্থান করেন। এখানে গৌড়ের সীমান্ত রক্ষীরা অগ্নিবাণ প্রয়োগ করে তাদেরকে প্রতিহতের চেষ্ঠা করে কিন্তু মুসলমান সৈন্যের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। গোবিন্দ সমস্ত বিষয় অবগত হয়ে উপায়ান্তর না পেয়ে বরাক নদীতে নৌকা চলাচল নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে। হযরত শাহজালাল (রঃ) পূর্বের মতো জায়নামাজের সাহায্যে বরাক নদী পার হন। বরাক নদী পাড়ি দিয়ে বাহাদুরপুর হয়ে বর্তমান সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলায় ফতেহপুর নামক স্থানে রাত্রিযাপন করেন।সর্ব প্রকার কলাকৌশল অবলম্বন করে রাজা গৌড়গোবিন্দ যখন দেখলেন সকল প্রয়াসই বিফলে যাচ্ছে, তখন শেষ চেষ্টা করার লক্ষে যাদুমন্ত্রসহ এক প্রকাণ্ড লৌহধনুক হযরত শাহজালালের (রঃ) কাছে প্রেরণ করে; যার শর্ত ছিল যদি কেহ একা উক্ত ধনুকের জ্যা ছিন্ন করতে পারে তখন গোবিন্দ রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। হযরত শাহজালাল (রঃ) তার দলের লোকদের ডেকে বললেন, যে ব্যক্তির সমস্ত জীবনে কখনও ফজরের নামাজ কাযা হয়নি একমাত্র সেই পারবে গোবিন্দের লৌহ ধনুক "জ্যা" করতে। অত:পর মুসলিম সৈন্যদলের ভেতর অনুসন্ধান করে সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীনকে উপযুক্ত পাওয়া গেল এবং তিনিই ধনুক জ্যা করলেন।

শাহী ইদগাহ সিলেট
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা
সিলেটের শাহী ইদগাহ
মাঠ ও প্রবেশদ্বার

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক যেসব স্থাপনা  রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সিলেটের শাহী ইদগাহ।প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখানে বিশাল দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মুসল্লী এক সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।১৭০০ সালের প্রথম ভাগে সিলেটের ফৌজদার ফরহাদ খাঁ তার ব্যক্তিগত অর্থায়ন ও তত্বাবধানে এটি নির্মাণ করেন।১৭৭২ সালে এ অঞ্চলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সর্ব প্রথম এখান থেকেই শুরু হয়েছিল।অতীতে সিলেটের বড় সমাবেশ গুলো এখানে হওয়ার কারনে মহাত্না গান্ধি, কায়দে 

আযম, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শের ই বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক এর মতো বিশ্ব বরণ্য ব্যক্তিত্ব এসেছেন। উল্লেখ্য কারনে শাহী ইদগাহ পর্যটকদের কাছে স্বরণীয় ও আকর্শনীয়।ম্যাপ এ হোটেল খান ভিউ থেকে অতি আর্কশনীয় এ স্থানটি মাত্র ৬ মিনিট  দূরত্বে অবস্থিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রুম বুকিং কিভাবে করবেন ?

  প্রথমে ভাড়ার তালিকা দেখুন, ভাড়ার তালিকা দেখতে   এখানে ক্লিক করুন । রুমের ছবি দেখুন, রুমের ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । রুমের ভিডিও দেখুন, ...